Sunday, January 14, 2018

হালুয়া রেসিপি

আজকে আপনাদের সাথে হালুয়া কি ভাবে তৈরি করে তা নিয়ে আলোচনা করবো।কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনায় চলে যাই।

কর্ণ ফ্লাওয়ার ১কাপের সাথে ২ কাপ পানি দিয়ে ভালো করে গুলে নিবেন।খাওয়ার উপযোগী রঙ পাওয়া যায় বাজারে, ২-৩ ফোটা দিয়ে দিবেন।
হালুয়া
যেমন কালার আপনার পছন্দ তেমন কালার দিবেন।এখন আমরা চিনির সিরা বানাবো।একটা কড়াই চুলায় বসিয়ে তার মধ্যে ২ কাপ চিনি এবং চিনির মধ্যে ১কাপ পানি দিয়ে ভালো করে গুলে জ্বাল দিতে থাকবেন।সিরাটা হাল্কা ফুটে উঠলে ২ টেবিল চামুচ লেবুর রস দিয়ে দিবো।সিরা ভালো করে নাড়তে থাকবেন যাতে ভালো করে চিনিটা গলে।যখন সিরাটা ভালো ভাবে ফুটে উঠবে তখন কর্ণ ফ্লাওয়ার ভালো করে আবার নেড়ে চিনির সিরার মাঝে দিয়ে দিবেন।
হালুয়া তৈরি করা
এখন চুলার আগুন হাল্কা মেডিয়াম করে নাড়তে থাকবেন।জ্বাল যতো দিবেন আস্তে আস্তে হালুয়া জমতে থাকবে,সাথে নাড়তে থাকবেন।ভালো করে না নাড়লে কড়াইর মধ্যে লেগে যাবে।যখন মোটামুটি জমে যাবে তখন চুলার আগুন একদম কমিয়ে তার মধ্যে ৩ টেবিল চামুচ ঘি দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিন।
হালুয়া
এখন কিছু বাদাম আর কিসমিস দিয়ে দিবেন।ভালো করে যখন জমে যাবে তখন একটা বাটির মধ্যে নামিয়ে রেখে দিন ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত।গরম থাকা অবস্থাইয় আবার কিছু বাদাম আর কিসমিস দিয়ে দিবেন।ঠান্ডা হয়ে গেলে একটা ছুরি দিয়ে কেটে কেটে পরিবেশন করতে পারেন।

হালুয়ার উপাদানঃ
(১) কর্ণ ফ্লাওয়ার ১কাপ এবং পানি ২কাপ।
(২) ২-৩ফোটা রঙ।
(৩) ২কাপ চিনি এবং ১কাপ পানি।
(৪) ২টেবিল চামুচ লেবুর রস।
(৫) ৩ টেবিল চামুচ ঘি।

Sunday, January 7, 2018

গরু মাংসের তেহারী

গরু মাংসের তেহারী আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি।আমরা অনেকেই জানিনা কি ভাবে তেহারী রান্না করেত হয়।

বন্ধুরা আমি নিজেও অনেক কিছু রান্না করতে পারি কিন্তু তেহারী কি ভাবে রান্না করতে হয় সেটা জানতাম না।আমরা বন্ধুরা মিলে মাঝে মাঝে ক্লাবে পিকনিক করি আর পিকনিকের জোয়ারটা শিত কালেই একটু বেশি হয়।আমি যাতে রান্না করতে পারি তাই ওখানে আমাকেই রান্না করতে হয়।আমি যাতে তেহারী খুব পছন্দ করি তাই একদিন ইচ্ছে হলো বন্ধুদের কে তেহারী রান্না করে খাওয়াবো। নিজে নিজে চেষ্টা করে রান্না করলাম।আমি বললে হয়তো আপনারা বিশ্বাস করবেননা? আমি যে ভাবে রান্নাটা করলাম তা অনেক সুস্বাধু হয়েছে এবং বন্ধুরাও খেয়ে অনেক প্রশংসা করলো।এখন সেই রেসিপিটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
গরু মাংস তেহারীর জন্য

প্রথমে মাংস গুলা ভালো করে দুয়ে নিবেন।এর পরে পানি জেড়ে মাংস ৩০০ গ্রাম তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবেন।এর পরে আদা বাটা এবং রসুন বাটা এবং পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবেন।এবার গরম মসলা গুড়ু এবং মাংসের মসলা ও পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।মাংসের মাঝে তেল বেশি দেয়ার কারণ হলো এই তেল দিয়েই আবার চাউল গুলা ভাঝতে হবে তাই তেলের পরিমান একটু বেশি।
এবার মাংস গুলা চুলার মাঝে বসিয়ে দিন।যতক্ষণ মাংস সিদ্ধ না হয় এবং পানি শুকিয়ে না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত চুলায় বসিয়ে রাখুন।মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে পাতিলটাকে নিছে নামিয়ে কিছুর সাথে হাল্কা ঠেশ দিয়ে তেল গুলা আলগা করে নিন।
এবার অন্য একটা পাতিল বসান পোলাউয়ের জন্য।ঐ তেল গুলা পাতিলে দিয়ে কিছু সময় গরম করে নিন।এর পরে পেঁয়াজ কুচি,কয়েক টুকরা দারুচিনি,৩-৪টা তেজ পাত,৬-৭টা এলাচ,৬-৭টা লং দিয়ে তেলের মাঝে ভেঝে নিন।
তেহারীর পেঁয়াজ ভাজা
যতক্ষণ পর্যন্ত পেঁয়াজ গুলা হাল্কা বাদামি রঙের না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভেঝে নিন।পেঁয়াজ বাদামি রঙের হয়ে গেলে চাউল দিয়ে দিন পাতিলে।এবার চাউল গুলা ভালোকরে ভেঝে নিন।চাউল হাল্কা বাদামি রঙের হয়ে গেলে দেড় কেজি পরিমাণে গরম পানি দিয়ে দিন।কয়েক মিনিট পরে পরিমাণ মতো লবণ এবং ৬-৭টা কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছু সময় ঢাকনা লাগিয়ে দিন।চাউল সামান্য কিছু হয়ে আসলে এবার চুলা থেকে চাউলের পাতিলটা নামিয়ে মাংসের পাতিলটা বসিয়ে দিন।এবার চাউল গুলা মাংসের পাতিলে ঢেলে একটু ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।মেশানোর পরে ঢাকনা লাগিয়ে দিন।কিছু সময় পরে চাউল যখন হয়ে আসবে তখন আবার নেড়ে দিন এর পরে পানি কমে গেলে চুলার আগুন কমিয়ে দিন যাতে হাল্কা হাল্কা জ্বলে।চাউল হয়ে গেলে নামিয়ে নিন এবং পরিবেশন করুন
তেহারী


১) দেড় কেজি গরুর মাংস ছোট ছোট করে কেটে ভালো করে দুয়ে নিবেন।
২) এক কেজি চিনিগুড়া চাউল দশ মিনিট পানিতে বিজিয়ে রাখবেন,চাউল বিজিয়ে রাখলে ভাত ঝরঝরে হবে।এর পরে ভালো করে দুয়ে নিবেন এবং পানি জেড়ে রেখে দিবেন।
৩) সামান্য কিছু গরম মসলা(১টা জয়ফলের অর্ধেক,২টুকরা দারুচিনি,৬-৭টা লং,৫-৬এলাচ,২টুকরা জয়ত্রি)গুড়ু করে নিবেন।
৪) ৩০০ গ্রাম তেল নিবেন।
৫) ১০০গ্রাম আদা ব্লেন্ডার করে নিবেন।
৬) ৫০গ্রাম রসুন ব্লেন্ডার করে নিবেন।
৭) ২০গ্রাম গরু মাংসের মসলা নিবেন।

৮) ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ ৩০০গ্রাম ব্লেন্ডার করে নিবেন এবং বাকি গুলা কুচি করে নিবেন।

Sunday, December 31, 2017

আলু পুরি

আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কি ভাবে আলু পুরি ভানাতে হয়।

বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন আসল আলোচনায় চলে যাই।
শুরুতে আমরা ২কাপ ময়দা নিবো এবং ময়দার মধ্যে ১ টেবিল চামুচ তেল এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে সামান্য সামান্য পানি দিয়ে ময়দার খামির ভানাবো।ময়দার খামির ভানানো হয়ে গেলে এটাকে ২০-২৫ মিনিট ঢেকে রাখবো।
পুরির জন্য ময়দার খামির

এর পরে আমরা ২টি আলু সিদ্ধ করে নিবো এবং ২-৩টি শুকনা মরিচ ভেজে গুড়া করে নিবো।কিছু ধনিয়া পাতা কুচি করে নিবো,সাথে মাঝারি সাইজের একটা পেঁয়াজ কুচি করে নিবো।এখন পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে সব গুলা মসলা আলুর মধ্যে ভালো করে মলে নিবো।যেমন করে আলূর ভর্তা ভানায় ঠিক তেমন করে মলে নিবেন।
পুরির জন্য আলু

এখন ময়দার খামিরকে ছোট ছোট করে গোল্লা করে নিবো।তার পরে হাত দিয়ে গোল্লাটাকে চার দিক টেনে একটু বড় করে তার মধ্যে আলু ডুকিয়ে গোল্লার চার দিকে বন্ধ করে দিবো।তার পরে গোল্লাটাকে আস্তে আস্তে করে বেলে নিবো।জোড়ে চাপ দিয়ে বেলবেননা।জোড়ে চাপ দিয়ে বেললে বিতর থেকে আলু বের হয়ে গেলে পুরি পুলবেনা।
এর পরে কড়াইর মধ্যে তেল দিয়ে পুরি ভেজে নিন।
আলু পুরি


১) ২ কাপ ময়দা
২) ১ টেবিল চামুচ তেল
৩) ২ টি আলু
৪) ২-৩ টি শুকনা মরিচ
৫) মাঝারি সাইজের ১ টি পেঁয়াজ
৬) পরিমাণ মতো লবণ

Thursday, December 28, 2017

ডাল পুরি

খুব সহজে ঘরে বসে হোটেলের মতো করে পুরি বানাতে পারবেন
নিছে পুরি বানানোর বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
প্রথমে ১ কাপ মুসরির ডাল ভালো করে দুয়ে নিবেন।এর পরে পানি জেড়ে কড়াইয়ের মাজে রাখবেন।এখন পেঁইয়াজ কুচি,রাসুন বাট,লবণ এবং হলুদের গুড়া গুলো দিয়ে দিবেন।এখন ২ কাপ মরিমাণে পানি দিয়ে ডাল ভালো করে সিদ্ধ করে নিবেন।ডাল চামুচ দিয়ে ভালো করে গুড়া করে নিবেন,যেমন করে ডাল রান্না করে ঠিক তেমন করে গুড়া করে নিবেন।পানি যতক্ষন না শুকায় ততোক্ষন নাড়তে থাকবেন।খেয়াল রাখবেন ডাল যাতে কড়াইয়ের মাজে লেগে না যায়।পানি শুকিয়ে গেলে এবং ডাল যাতে হাল্কা শুকনা হয় তখন নামিয়ে নিন।
পুরির জন্য ডাল ভাজা

এখন ২ কাপ ময়দা নিন।ময়দার মাজে ২ টেবিল চামুচ মরিমানে তেল এবং পরিমান মতো লবণ দিয়ে ভাল করে মিক্স করে নিন।এর পরে ময়দার মাজে ঠান্ডা পানি দিয়ে ময়দার খামির বানিয়ে নিন।খেয়েল রাখবেন আস্তে আস্তে পানি দিতে হবে,বেশি দিলে আবার ময়দার খামির নরম হইয়ে যাবে।ঠিক ঘরে যেমন করে রুটি বানায় তেমন করে খামির করে নিবেন। ১৫-২০ মিনিট খামির টা ঢেকে রেখ দিবেন।২ কাপ ময়দা দিয়ে ইচ্ছে করলে আপনি ২০-২৫ টা পুরি বানাতে পারবেন।এখন কয়টা বানাবেন সেটা আপনার ইচ্ছার উপর নির্বর করছে।এখন তাহলে শুরু করা যায় ফাইনাল কাজ।
ডাল পুরির গোল্লা

প্রথমে ময়দার খামির কে চোট চোট করে গোল্লা করে নিবেন।এর পরে একটা গোল্লা হাত দিয়ে টেনে টেনে একটু গোল করে হাল্কা বড় করে নিন।এখন মাজে কিছু ডাল দিয়ে ভালো করে চারদিকের মুখ বন্ধ করে দিন।যেমন করে সিঙ্গারা বানায় ঠিক তেমন করে। এখন একটা গোল্লা বেলন দিয়ে হাল্কা চাপে বেলতে থাকেন।জোড়ে চাপ দিলে বিতরের ডাল বের হয়ে গেলে কিন্তু পুরি ফুলবেনা।এখন কাজ হলো পুরি ভাজা।কড়াইয়ের মাজে বেশি করে তেল নিবেন এবং খেয়াল রাখবেন যেনো তেল ভালো করে গরম হয়।
ডাল পুরি


পুরির উপকরণঃ
১) ডাল ১ কাপ
২) পেয়াজ মাজারি সাইজের ১টি কুচি করে নিবেন
৩) পরিমান মতো লবন
৪) রসুন বাটা ১ চা চামুচ
৫) সামান্য পরিমাণ হলুদের গুড়া
৬) পানি ২ কাপ পরিমাণ
৭) সামান্য কিছু শুকনা মরিচের গুড়া
৮) জিড়ার গুড়া ১ চ চামুচ
৯) সামান্য কিছু ধনিয়া পাতা
১০) ২ কাপ ময়দা
১১) পরিমান মতো লবণ

১২) তেল ২ টেবিল চামুচ

Monday, December 18, 2017

আলু পরোটা বানানো শিখুন

আমাদের এই সাইট শুধু মাত্র তাদের জন্য,যারা রান্না কে খুব বেশি কঠিন মনে করেন।আমাদের এই রান্না বিষয়ক সাইটে আপনাদের জন্য খুব সহজ এবং সংক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন রান্নার উপর আলোচনা করেছি। আজকে আপনাদের সাথে সেয়ার করবো কি ভাবে ঘড়ে বসে মজাদার আলু পরোটা বানাবেন।বেশি কথা না বলে চলুন চলে যাই আমাদের মূল কাজে।
আলু পরোটার জন্য আলু এবং মশলা
প্রথমে দুইটা মাঝারি সাইজের আলু সিদ্ধ করে নিবেন।এর পরে সামান্য কিছু পেয়াজ কুছি তেলের মধ্যে ভেজে নিবেন।এর পরে পেয়াজ বাঝা গুলা হাত দিয়ে গুড়া করে রেখে দিন।পরে ৩ কাপ আটা এবং ১ চা চামছ লবন, ১ টেবিল চামছের একটু বেশি সয়াবিন তেল নিয়ে ময়দায় ভালো করে মেখে নিবেন।এবার অল্প অল্প পানি(ঠান্ডা পানি) দিয়ে ময়দাটাকে ভালো করে মলে নিবেন। ময়দার খামির যাতে বেশি নরম না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।এবার ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রাখেন।
আলু পরোটার জন্য ময়দার খামির
এবার সিদ্ধ আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিন।এখন সামান্য কিছু কাচা মরিচ কুছি, হাল্কা কিছু সুকনা মরিচ গুড়া,এক চিমটি টেষ্টি সল্ট,হাল্কা কিছু জিরার গুড়া এবং হাল্কা কিছু গরম মসলা এবং সামান্য কিছু দনিয়া পাতা কুছি নিয়ে নিবেন।
এবার আলু গুলাকে ভালো করে মলে নিবেন।মলার পরে আলুর সাথে সব মসলা ভালো করে মেখে নিন।পরিমান মতো লবন দিয়ে দিবেন।খেয়াল রাখবেন আগে যেহেতু ময়দার সাথে লবন দিয়েছেন তাই এখন লবন দিতে হিসেব করে দিবেন।
আলু পরোটার বিতরের অংশ

এবার ময়াদার খামিরটা দিয়ে যেই কয়টা পরটা বানাবেন সেই হিসেব মতে ভাগ করে কয়েকটা গোল্লা বানিয়ে নিন।এর পরে একটা গোল্লাকে বেলন দিয়ে সামান্য চেপ্টা করে তার মধ্যে কিছু আলু ডুকিয়ে চার দিক ভালো করে টিপে মুখ বন্ধ করে দিবেন।দোকানে সিঙ্গারা যেমন করে বানায় সেই ভাবে।এখন টেবিলের উপর বা পিড়ার উপর রেখে হাল্কা হাল্কা করে বেলন দিয়ে পরোটার মতো বেলে নিন।বেশি জোড়ে চাপ দিবেন না।জোড়ে চাপ দিলে আবার বিতরের আলু বের হয়ে যাবে।এর পরে তাওয়াতে তেল দিয়ে স্বাভাবিক পরোটা যেভাবে বানায় সেই ভাবে বেঝে নিন।
আলু পরোটা তৈরি

এই হলো আলু পরোটার সেসিপি।

আরো নতুন নতুন রান্না বিষয়ক রেসিপি জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।